হবিগঞ্জ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর অপরূপ বাহুবল উপজেলা এখন বিশ্বের সামনে আরো ব্যাপক ভাবে পরিচিত হচ্ছে দ্যা প্যালেস রিসোর্ট নামের এশিয়ার অন্যতম রিসোর্টের কারনে, প্রতিদিন হাজারো পর্যটক এখানে আসেন মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির ভেতরে গড়ে উঠা অনন্য সুন্দর এই বিলাসবহুল রিসোর্টে অবকাশ যাপনের জন্য, দেশ বিদেশ বরণ্য ভিআইপি, ক্রিকেটার, মন্ত্রী, আমলা থেকে শুরু করে সাহিত্যিক নাট্যকার ঔপন্যাসিক সহ এখানে বেড়াতে আসেন টিভি সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রিসোর্ট রোডে একটি পুলিশ বক্স স্থাপিত রয়েছে, প্যালেস রিসোর্টে প্রবেশের রাস্তার দুপাশে বিস্তৃত আমাদের সিলেটের ঐতিহ্য মনোরম সবুজ ঘেরা চা বাগানের দিকে তাকালে মনের গভীর থেকে বেরিয়ে আসে নির্মল উচ্ছাস! কিন্তু রিসোর্টের মুল রাস্তার খুব কাছেই হাতের বামপাশে জঙ্গলের ভেতরে পাহাড়ের টিলার উপরে বেশ কয়েক জায়গায় গর্ত তৈরী করে মানুষ প্রবেশ উপযোগী করে ইট সিমেন্ট বাঁধানো সিঁড়ির পথ। এর ভেতরে কে বা কারা জড়ো হয় প্রতিদিন সন্ধায়, প্রসাশনের চোখে ধুলো দিয়ে কারা এখানে কিসের আস্তানা গেড়েছে? মাদক সেবনের পাশাপাশি এরা কি তবে ভিন্ন কোনো পরিকল্পনার ফন্দি করছে? এর পেছনে কি কোনো জঙ্গি সংঘটনের সূত্র আছে? স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় এখানে প্রতিদিন সন্ধা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে রহস্যময় মানুষের আনাগোনা, এরা এখানে কিসের আস্তানা ঘেরেছে তা সঠিকভাবে কেউ বলতে পারে না, এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য বিযষয়টি হতে পারে যথেষ্ট ইনসিকিউরড, স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বেআইনিভাবে তৈরী হওয়া মাদকসেবী অথবা জঙ্গি সংঘটনের এই আস্তানা নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের ভেতরে এক ধরনের চাপা শঙ্কা বিরাজ করছে। এলাকার স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় এখানে আস্তানা তৈরীর মূল হোতা পুটিজুরী ইউনিয়নের রাজসুরত গ্রামের মৃত আজাদ মিয়া ও রসুই বেগমের ছেলে মোঃ জাহেদ মিয়া(৩০), যার প্ররোচনায় এলাকার বেশ কিছু মানসিক বিপর্যস্ত তরুন এবং অসফল ব্যবসায়ী নিজ পরিবার পরিজন ছেড়ে গর্তের ভেতরে আস্তানায় বসবাস শুরু করছেন, যা এলাকার বিশিষ্টজনদের নজরে পড়েছে, এ ছাড়াও মোঃ জাহেদ মিয়ার (৩০) প্ররোচনায় দিগাম্বর বাজারের শাহ মিসকিন কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা রাজসুরত গ্রামের মোঃ সিজিল মিয়া মাদকাসক্ত হয়ে স্বীয় পরিবার পরিজনের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বিশিষ্টজনের কাছ থেকে জানা যায়, জাহেদ মিয়া অপেক্ষাকৃত বিফল বা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত তরুন ছেলেদের মস্তিষ্কে ভয়ানক মাদক সেবনে প্ররোচনার মাধ্যমে এলাকার যুব সমাজকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের সুন্দর জীবন বিপন্ন করছে, বিষয়টি প্রসাশনের দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাচ্ছে বলেই এলাকার বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এহেন কুকর্মের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জনপ্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছেন। ভিডিও ফুটেজটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
COMMENTS