পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হয়। এক্ষেত্রে এক দেশের কায়দার সাথে অন্যদেশের কায়দা একদমই মেলে না। একইসাথে, কিছু কিছু দেশ আছে যাদের বিয়ের রীতিনীতি একেবারেই অদ্ভুত। এসব নিয়ম শুনলে হয়তো আপনার হাসি পাবে, আবার রীতিমত আক্কেল গুড়ুমও হয়ে যেতে পারে।
পোল্যান্ড: পোল্যান্ডে বিয়ের পার্টিতে বউয়ের সঙ্গে নাচার জন্য অতিথিদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। সেই টাকা জমিয়ে নবদম্পতির হানিমুনের জন্য খরচ করা হয়।
স্কটল্যান্ড: স্কটল্যান্ডে বর ও বউ বিয়ের আগে ঘরের বাইরে বসে থাকে আর তাদের ওপর ছাই, পালক, ময়দা ও গুড় মেশানো অ্যালকোহল ঢেলে দেওয়া হয়। আর এই কাজটি তাঁদের পরিবার ও বন্ধুরা স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেই করে থাকেন।
জার্মানি: জার্মানিতে বিয়ের আগের দিন রাতে বর-বউয়ের পরিবার ও বন্ধুরা তাদের ঘরের বাইরে কাঁচের জিনিস ছুড়ে ফেলেন। নতুন দম্পত্তিরা সেই ভাঙা কাঁচের টুকরাগুলো ঝাড়ু দিয়ে নতুন ঘরে প্রবেশ করেন। বিয়েতে জার্মানির আরো একটি মজার রীতি হলো, বিয়ের পর নতুন দম্পতি সবার সামনে একটি কাঠের টুকরোকে একসঙ্গে কেটে দেখাবেন। এটি দিয়ে তাঁরা প্রমাণ করেন দুজন সমানভাবে কাজ ভাগাভাগি করে নেবেন এবং তাঁদের মধ্যে বোঝাপাড়া অনেক ভালো।
কোরিয়াঃ কোরিয়ায় বিয়ের সময় বর তাঁর শ্বাশুড়িকে একজোড়া পুতুল হাঁস উপহার দিয়ে থাকেন। এই উপহারটি দিয়ে বর বউয়ের প্রতি তাঁর উদ্দেশ্য এবং আনুগত্য প্রকাশ করেন।
ফিলিপাইনঃ দীর্ঘ, শান্তিময় ও ছন্দময় জীবনের উদ্দেশ্যে ফিলিপাইনে বিয়ের দিন বর ও বউ একই সঙ্গে দুটি কবুতর আকাশে ছেড়ে দেন। তাঁরা মনে করেন, কবুতরের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জীবনের দুঃখ-কষ্টও দূর হয়ে যাবে।
জাপানঃ জাপানে বিয়ের সময় বর ও বউ তিনটি কাপের পানীয় থেকে তিনবার চুমুক দেন। এরপর তাঁদের বাবা-মা একইভাবে সেই কাপগুলোতে চুমুক দেন। জাপানিদের বিশ্বাস এতে পরিবারের মধ্যে বন্ধন পাকাপোক্ত হয়।
গুয়েতেমালাঃ গুয়েতেমালায় বরের মা নতুন দম্পতিকে স্বাগত জানাতে বিয়ের পার্টিতে একটি সাদা রঙের ঘণ্টা ভাঙেন, যা নতুন দম্পতির সুখময় জীবনের উদ্দেশ্যে করা হয়ে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকাঃনতুন দম্পতির ঘরে বর এবং বউয়ের বাবা-মা তাঁদের বাসা থেকে আগুন নিয়ে আসেন। সেই আগুন দিয়ে তাঁরা তাঁদের নতুন ঘরের ফায়ার প্লেসের আগুন ধরান। ছোটবেলা থেকে তারা যে আগুনের আঁচে অভ্যস্ত, সে রকম আগুন দিয়েই তারা তাদের নতুন জীবন শুরু করে।
অস্ট্রেলিয়াঃঅস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের সময় অতিথিরা বর ও বউকে রংবেরঙের পাথর ও মার্বেল উপহার দিয়ে থাকেন। এমনকি বিয়ের সময় তাঁরা অতিথিদের একটি বড় কাচের বাটিতে পাথরগুলো রাখতে বলেন, যা পরবর্তীতে নতুন দম্পত্তিরা তাঁদের ঘরের একটি বিশেষ জায়গায় রেখে দেন। যাতে তাঁরা সব সময় অনুভব করেন তাঁদের পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্য এবং দোয়ার কথা।