আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের কারনে আমরা যে যে সুবিধা সমুহ পেতে যাচ্ছি।
বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য বছরে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হওয়ায় এই ব্যয় কমবে। একই সাথে দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে।
এছাড়া স্যাটেলাইটের তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে, ইতিমধ্যে নেপাল ও ভূটানের সাথে এই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।
টেলিভিশন চ্যানেল ছাড়াও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া যাবে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে।
উৎক্ষেপনের ক্লিপস দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
যে কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ট্যারিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দেশে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পরিবেশ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ই-সেবা নিশ্চিত করবে ।
স্যাটেলাইটের কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হলে আশপাশের কয়েকটি দেশে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেম এর গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার আছে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হয়েছে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে।
সুত্রঃ ইন্টারনেট
COMMENTS