বর্ষা মানেই যখন-তখন বৃষ্টি। এসময় খুব গরম যেমন থাকে আবার বাতাসে আদ্রতাও বেশি থাকে। তাই এ আবহাওয়ার সাথে আমাদের ত্বক ও চুল সহজেই মানিয়ে উঠতে পারে না। ফলে ত্বক ও চুল নিস্তেজ ও রুক্ষ হয়ে যায়।
আর তাই এ বর্ষায় ত্বকের প্রয়োজন অতিরিক্ত যত্ন। ত্বক সুন্দর রাখার কিছু উপায় দেখে নিন-
চুলের যত্ন: বাতাসে আর্দ্রতার কারণে ছত্রাক জন্ম নেয়। ফলাফল খুশকির উপদ্রব। এ ঋতুতে চুলের গোড়া নরম থাকার কারণে চুল পড়ে বেশি। সুতরাং চুলের একটু বাড়তি যত্ন আবশ্যক। বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পড়ই চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। তবে এ সময় চুলে ছত্রাকের আক্রমন থেকে বাঁচতে মাথায় নিমের প্যাক ব্যাবহার করতে পারেন।
ত্বকের যত্ন: সারাবছরই ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তৈলাক্ত ত্বকে পানির মাত্রা বেশি থাকে। তাই সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন। রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের জন্য এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সাধারণ ত্বকের জন্য ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালোভাবেই কাজ করে।
হাতের যত্ন: বৃষ্টিতে ভিজলে প্রথমেই হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত একদিন নিয়মিত ম্যানিকিওর করুন। হালকা গরম পানিতে বেবি শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এতে হাত ভিজিয়ে রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন নখ ও এর আশপাশের অংশ। পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মাখুন। নখ চকচকে করতে বাফার ঘষে নিতে পারেন। নখে যদি হলুদ ছোপ থাকে তাহলে ম্যাসাজ করুন লেবুর রস দিয়ে।
পায়ের যত্ন: বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় জমে থাকা পানির সঙ্গে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ মিশে যায়। আর এই পানি পায়ে লেগে বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগ দেখা দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হয়ে হতে পারে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। এ সময় বাড়িতে ফিরে পা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর গরম পানিতে কয়েক দানা খাওয়ার সোডা মিশিয়ে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবার লবণ বা চিনির উপাদান মিশ্রিত স্ক্র্যাব দিয়ে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পাতলা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
ঠোঁটের যত্ন: এ মৌসুমে ঠোঁট ফাটা বা ঠোঁটের চামড়া ওঠা খুবই সাধারণ ঘটনা। বর্ষায় ঠোঁট নরম রাখতে ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত। এতে ঠোঁটের নমনীয়তা বজায় থাকবে।