মুহাম্মাদ রাইহান এর দুুটো কবিতা।
এক
বুকের হেরেম
স্পর্শেও গভীরতা থাকে
থাকে কিছু হৃদয়ের তাপ
আঙুলে লুকিয়ে রেখে প্রেম
ছুঁয়ে দিলে হই নিষ্পাপ
হাতের উলটোপিঠে যদি
এঁকে দাও দু’ ঠোঁটের দাগ
দাগটুকু মুছে যেতে পারে
রেখে দিয়ে গাঢ় দায়ভাগ
বুকের গভীরে রেখে টান
মুখে দাও বিরহ বিপুল
তোমাকেই দেখো নিয়ো ঠিক
খুঁজে নেবে বেহুলা আঙুল
কখনো ফুরিয়ে গেলে টান
ফিকে হয়ে আসে যদি প্রেম
হয়তোবা বেঁচে রবো ঠিক
পুড়ে যাবে বুকের হেরেম।
দুই
তৃতীয় লিঙ্গ
বানরটাকে দেখো, মানুষের সংস্পর্শে যেন ক্রমশ মানুষ হয়ে উঠছে।
খেতে দিলে চুপচাপ খায়।
বগলে বই চেপে ইশকুলে যায়।
মেয়েগুলোকে দেখো,
মধ্যরাস্তায় বাস থামিয়ে যারা উঠে পড়েছিলো অতর্কিত।
গায়ে অট্টহাসি-রঙ জামা,
শরীরজুড়ে বেখাপ্পা মেকাপের ছাপ।
তাদের আচরণ── মনে হচ্ছিলো এক গাড়ি মানুষ ধেয়ে যাচ্ছি আইয়ামে জাহিলিয়াতের গভীর গহ্বরে।
তাদের শরীরভঙিমা── মনে হচ্ছিলো বউবাচ্চা নিয়ে আটকে পড়েছি জন্তুর খাঁচায়।
তাদের বাচনভঙ্গি── মনে হচ্ছিলো ভাইবোন নিয়ে ঢুকে পড়েছি সানি লিওনের মত্ত মজমায়।
মানুষের বিরুদ্ধে কেন তাদের এতোবেশি ক্রোধ?
স্রষ্টার বিরুদ্ধে কেন এতো রাগ, এতো অভিযোগ?
প্রিয় ভগ্নি ও ভ্রাতা, শোনো
জন্মে তো তোমাদের দোষ নেই কোনো
মিছে ক্রোধে নিজেরাই নিজেদের করছো আঘাত
জন্মে থাকে না কারও নিজেদের হাত
স্রষ্টার পূজো ধরো, মনেই মসজিদ গড়ো, কী লাভ দেহ নিয়ে ভেবে এতোকিছু?
মানুষ তো দেহ নয়, দেহের আড়ালে বসে খেলে এক অবুঝ শিশু।
COMMENTS (1)
মাশাআল্লাহ